কাশ্মীরে ভারতের পদক্ষেপে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ টিবিটি টিবিটি আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১ | আপডেট: ৭:৪৪:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১ ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিধিনিষেধের কারণে সেখানকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ।জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট শুক্রবার এক বিবৃতিতে ওই উদ্বেগের কথা জানান।বিবৃতিতে তিনি বলেন, কাশ্মীরের নাগরিক সমাজের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের আরোপিত বিধিনিষেধ নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট দ্রুতগতির ৪জি ইন্টারনেট সেবাসহ টেলিফোন যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এ অঞ্চলে পুনরায় ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়।কিন্তু অন্য সব বিধিনিষেধ এখনও অব্যাহত থাকায় সেখানকার মানুষজনের ব্যাবসা-বানিজ্য, জীবন-জীবিকা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।গত অক্টোবরে সেখানে অস্বাভাবিক তল্লাশি অভিযানের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বৈশ্বিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছিল, এ ধরনের সরকারি তৎপরতা উদ্বেগজনক। মনে হচ্ছে, ভারতের সরকার জম্মু-কাশ্মীরের সব বিরোধী কণ্ঠকে দমনে বদ্ধপরিকর।মানবাধিকার-বিষয়ক জাতিসংঘ হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটগত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের ৭ জন র্যাপোর্টিয়ার এক বিবৃতিতে বলেন, ২০১৯ সালে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর নতুন আবাসিক আইন প্রবর্তনের ফলে সেখানে মুসলিম ও অন্য সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ কমে যাবে।কাশ্মীর-বিষয়ক পাকিস্তান পার্লামেন্টারি কমিটির প্রধান শাহরিয়ার খান আফ্রিদি শুক্রবার জাতিসংঘ র্যাপোর্টিয়ারদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জাতিসংঘকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে জনতাত্ত্বিক সন্ত্রাসের জন্য জাতিংঘের উচিত ভারতের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করা।এক সেমিনারে আফ্রিদি জানান, শীর্ষ মানবাধিকার গ্রুপগুলো কাশ্মীরে বিরোধীকণ্ঠ দমন এখনই বন্ধ করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার এ আহ্বানের তোয়াক্কা করছে না। আরও পড়ুন ৮৬ বছর পর আয়া সোফিয়ায় প্রথম রমজান ‘মুসলিম ভাইরা বুঝেছেন, মোদি উপকারই করেন’