না ফেরার দেশে কণ্ঠযোদ্ধা ইন্দ্রমোহন রাজবংশী টিবিটি নিউজ ডেস্ক টিবিটি নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৬:২৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২১ | আপডেট: ৬:২৫:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২১ ছবি: সংগৃহীতকরোনায় আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা ইন্দ্রমোহন রাজবংশী।বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।তার মৃত্যুর সংবাদটি গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছেন গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ইন্দ্রমোহন রাজবংশী বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধনী আসরের রিহার্সালের সময় মাথা ঘুরে পড়ে যায়। সেই থেকেই তিনি অসুস্থ। আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তাকে হারানোর ক্ষতি পূরণ হবে না। ’ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর জন্ম ঢাকায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নিজের নাম পরিচয় গোপন করে পাকিস্তানিদের দোভাষী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। পরবর্তীতে সেখান থেকে চলে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কণ্ঠযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এই কিংবদন্তি।তার পরিবারের পাঁচ পুরুষ সংগীতের সঙ্গে যুক্ত। সংগীত কলেজে লোকসঙ্গীত বিভাগের প্রধান হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন পাঠদান করেছেন। তিনি বাংলাদেশ লোকসংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৬৭ সালে ‘চেনা অচেনা’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক শুরু করেন।ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালী, জারি, সারি, মুর্শিদি ইত্যাদি গানের পাশাপাশি রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত তিনি। দেশের সংগীতাঙ্গণে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৮ সালে সংগীত বিভাগে একুশে পদক লাভ করেন খ্যাতিমান এই সংগীতশিল্পী।গান গাওয়ার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকগান সংগ্রহ করতেন তিনি। দেশের সহস্রাধিক কবির লেখা কয়েক লাখ গান সংগ্রহ করেছেন তিনি।ইন্দ্রমোহন রাজবংশী মৃত্যুকালে স্ত্রী দীপ্তি রাজবংশী, পুত্র রবীন রাজবংশী ও মেয়ে প্রবাসীসহ অসংখ্য গুণমুগ্ধ ভক্ত রেখে গেছেন। আরও পড়ুন নেক্সট মাসে ঢাকা চলে আসব ইনশাআল্লাহ যুক্তরাজ্যের স্কুলে পড়ানো হবে ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’ গানটি!