নিষ্ঠুর বাবা ছিলেন তিনি! টিবিটি টিবিটি নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৬:৪৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৮ | আপডেট: ৬:৪৪:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৮ টিবিটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিঃ সৃজনশীল শক্তি যে কোনো ধরনের বৃহৎ চ্যালেঞ্জ কিংবা সমস্যার সমাধান দিতে পারে- এমন দৃঢ়বিশ্বাস থেকে অ্যাপল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্টিভ জবস। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে পৃথিবীকে বদলাতে সফল হয়েছেন তিনি।অ্যাপলের প্রয়াত এ প্রাণপুরুষ মানুষ হিসেবে কেমন ছিলেন? সম্প্রতি স্টিভ জবসের বড় মেয়ে লিসা ব্রেনান জবস প্রকাশিত ‘স্মল ফ্রাই’ নামক আত্মজীবনীতে যেসব তথ্য উঠে এসেছে, তা প্রযুক্তিবিশ্বকে হতাশ করার মতোই।স্টিভ তখনো ‘স্টিভ জবস’ হয়ে ওঠেননি। ক্রিসান ব্রেনান নামে হাইস্কুলের এক সহপাঠিনীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। স্টিভ এবং ক্রিসানের বয়স যখন ২৩ বছর, তখন লিসা ব্রেনানের জš§। দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রথমে লিসাকে নিজের সন্তান বলে স্বীকার করেননি স্টিভ। বিষয়টি নিয়ে ক্রিসানের সঙ্গে স্টিভের ঝগড়া হয়। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। স্টিভের বাড়ি ছেড়ে চলে যান ক্রিসান। ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যায়, স্টিভই লিসার বাবা। কিন্তু তার পরও লিসাকে নিজের মেয়ে মানতে চাননি স্টিভ। তিনি বলেছিলেন, ডিএনএ পরীক্ষার ওপর ভরসা করা যায় না। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলেই লেখা থাকে, ৯৪ শতাংশ নির্ভুল! স্টিভ প্রথমে মেয়ের ভরণ-পোষণের কোনো খরচ দিতেন না।অবশ্য মামলায় হেরে গিয়ে মেয়ের দেখভাল করেন তিনি। লিসা কিশোরী বয়সে কয়েক বছর বাবার সঙ্গে ছিলেন। ‘স্মল ফ্রাই’ বইটিতে মূলত ওই সময়ের কথাই বেশি উঠে এসেছে। লিসার ভাষ্যে, তখন আমি বাবাকে খুব ভয় পেতাম। মাঝে মধ্যেই খুব অদ্ভুত আচরণ করতেন তিনি।কেমন অদ্ভুত আচরণ, সে কথা বলতে গিয়ে লিসা বর্ণনা করেছেন এক সন্ধ্যার কথা। স্টিভের সঙ্গে তখন লরেন পাওয়েলের বিয়ে হয়েছে। সেদিন আমি আর লরেন ড্রইং রুমে বসে আছি। বাবা ঘরে ঢুকে লরেনকে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে চুমু খেতে শুরু করে দিলেন। খুব অস্বস্তি হচ্ছিল। কিন্তু যেই উঠতে যাচ্ছি, বাবা বলল, বসে থাকো। তুমি এখন আমাদের পরিবারের অংশ।আত্মজীবনীতে সৎ মা লরেনের সঙ্গে লিসার সম্পর্কের টানাপড়েনের কথাও উঠে এসেছে। একবার মনোবিদের কাছে কিশোরী লিসা জানিয়েছিল, বাবা ও সৎ মা তাকে নিজের সন্তান বলে মনে করেন না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শুভ রাত্রিটুকুও বলেন না। লিসার এ কথা জেনে সৎ মা লরেন বলেছিলেন, ‘আমরা মানুষগুলোই এ রকম।’লিসা ব্রেনান জবস আত্মজীবনীতে তার বাবার সঙ্গে সম্পর্কের কিছু ভালো মুহূর্তও তুলে ধরেছেন। জবসের জীবনের শেষ কয়েক বছর ব্যাপক পরিবর্তন এসেছিল। লিসা লিখেছেন, ক্যান্সার তখন বাবাকে গ্রাস করে নিয়েছে। বাবা ওই সময় আমার কাছে বারবার ক্ষমা চাইতেন। বছরের পর বছর জš§দিন ভুলে যাওয়ার জন্য, খোঁজ-খবর না নেয়ার জন্য। সূত্র: ইন্টারনেট আরও পড়ুন সময় এখন লাইকি কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুসান ও মারজিয়ার ‘হাংরিনাকি’ এখন দারাজের