প্রেম করার অপরাধে যুবককে পিটিয়ে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা টিবিটি টিবিটি নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৩:৫৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৮ | আপডেট: ৩:৫৯:পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৮ টিবিটি মেট্রোঃসাইদুল ইসলামের বয়স ১৫ বছর। এই বয়সেই সে পাশের বাসার এক কিশোরীর প্রেমে পড়ে। কিশোরীর মা তাকে ডেকে নেয়। বেধড়ক মারধরের আধা ঘণ্টা পর লাশ মেলে বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দূরে সড়কে।শুক্রবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে রাজধানীর পল্লবীর বরুনার টেক এলাকায়।পুলিশ বলছে, সাইদুলের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যেখানে লাশ পাওয়া গেছে তার এক পাশে একটি নির্মাণাধীন ৩ তলা ভবন, অন্যদিকে ১০ তলা ভবন রয়েছে।ধারণা করা হচ্ছে, মারধরের পর দুই ভবনের কোনো একটির ছাদ থেকে ফেলে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সে আত্মহত্যাও করতে পারে। পুলিশ আরও জানায়, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সাইদুলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জলিল মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাইদুলকে মারধরের কথা স্বীকার করেছেন তিনি।সাইদুলের মা আমিনা বেগম বলেন, ওই কিশোরীর পরিবার বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক জাহিদুল ইসলামের কাছে অভিযোগ দেয়। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হন। তারা সাইদুলকে ঘর থেকে টেনে বাইরে নিয়ে আসে। লাঠি দিয়ে সাইদুলকে ব্যাপক মারধর করে। এ সময় আমাকে ঘরে আটকে রাখে তারা।কিছুক্ষণ পর ঘরের দরজা খুলে সাইদুল আমার কাছে চলে আসে। এবার ঘরে ঢুকে তারা সাইদুলকে মারধর শুরু করে। হঠাৎ করে সাইদুল ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আধা ঘণ্টা পর শুনি সাইদুল মারা গেছে।জাহিদুলের সঙ্গে কারা ছিল? আমিনা বেগম জানান, তিনজন। দু’জনকে চিনতে পেরেছি, এরা হলেন- আমির হোসেন ও জলিল মিয়া।পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, কিশোর সাইদুলের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। মারধরের পর তাকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে অথবা সে আত্মহত্যা করেছে। এখনও এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারিনি। তদন্তের পর এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে।কিশোরীর মা বলেন, আমার মেয়ের অল্প বয়স। তাকে পছন্দ করত সাইদুল। এ নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল বলে আমরা বিষয়টি জাহিদুলকে জানিয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম বিষয়টি যেন স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়। তারা সাইদুলকে মারধর করবে এটা আমরা বুঝতে পারিনি।ঘটনাস্থলের পাশের বাসায় থাকেন গৃহবধূ নাছিমা আক্তার। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিকট শব্দ পাই। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি কয়েকজন সাইদুলকে অটোরিকশায় তুলছে।স্থানীয় সূত্র জানায়, সাইদুলের বাবা জহিরুল ইসলাম পেশায় একজন রিকশাচালক। তিন ভাই এবং এক বোনের মধ্যে সাইদুল সবার ছোট। সাইদুল লেখাপড়া করেনি। সে বিভিন্ন নির্মাণাধীন ভবনে শ্রমিকের কাজ করত। আরও পড়ুন রাস্তায় ময়লা ফেলায় মেয়র আতিকের অভিনব প্রতিবাদ রাজধানীতে মেয়ের সামনেই বাসচাপায় মা নিহত