বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ টিবিটি টিবিটি নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮ | আপডেট: ৫:১৬:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮ রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়েছে শাহবাগ থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা। রোববার বিকাল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৎস্য ভবনের পাশ থেকে নেতাকর্মীদের একটি মিছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের কিছুক্ষণের জন্য থামিয়ে রাখে। এ সময় নেতাকর্মীরা মারমুখি হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে পানির বোতল ও কয়েকটি ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের মিছিলসহকারে যেতে দেয়। মিছিলটি ২০ নং ওয়ার্ড শাহবাগ থানা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বলে জানা গেছে।তবে পুলিশ শিশু পার্ক ইউনিট বিএনপির সভাপতি হারুনসহ অন্তত ১৫ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে বলে নেতাকর্মীদের দাবি। পুলিশের কেউই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার আয়োজন করে বিএনপি। এদিন সকাল থেকেই দলে দলে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। ব্যানার, ফেস্টুন, হেডার, দলীয় প্রতীক ধানের শীষের রেপ্লিকা, নামাঙ্কিত টি-শার্ট পরে দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে হাজির হন তারা।দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকলেও তাকে প্রতীকী প্রধান অতিথি করেই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে বিএনপির জনসভা। খালেদা জিয়ার জন্য মঞ্চে একটি চেয়ারও খালি রাখা হয়েছে। দুপুর ২টায় ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসানের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিএনপির জনসভা।তবে বেলা বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে সোহরওয়ার্দীতে আসতে থাকা নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। নিজেদের পূর্বের গ্রুপিং এর জের ধরে সমাবেশে মুখোমুখি হওয়ায় ধস্তাধস্তির ঘটনাও দেখা গেছে।ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক। বিকাল তিনটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভা চলাকালে মূল মঞ্চের পেছনে এই ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে মিছিল নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করে। এ সময় মঞ্চের সামনে জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে এবং পূর্ব-বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মঞ্চের পেছনে লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের দিকে ছুটে যায়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে।যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক কাওসারের গ্রুপের লোকজন হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন রফিকের গ্রুপের কর্মীরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওমর ফারুক কাওসার।শুরুর দিকে মূল মঞ্চে থাকলেও পরে নিচে নেমে মঞ্চের পেছনের দিকে চলে যান রফিক। সঙ্গে নিজের কর্মীরা থাকলেও হঠাৎ একা পেয়ে সেখানে থাকা নিজ ক্যাম্পাসের অন্যগ্রুপের কর্মীরা তার ওপর হামলা করে। সে গ্রুপের নেতৃত্ব দেন জগন্নাথ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক কাওসার। হামলার সময় তার চোখেমুখে কিলঘুষি মারা হয়। এক পর্যায়ে তার গায়ের শার্ট ছিঁড়ে যায়।পরে জগন্নাথের সাবেক ছাত্রদল নেতারা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এরপর হামলাকারী ছাত্রদল কর্মীরা মিছিল নিয়ে রমনা কালীমন্দিরের দিকে চলে যান।কিছুক্ষণ পর রফিকের অনুসারীরারা লাঠিসোটা নিয়ে হামলাকারী গ্রুপকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু ততক্ষণে তারা এলাকা ত্যাগ করেছে। এ ঘটনায় কিছুক্ষণ মঞ্চের পেছনের অংশে উত্তেজনা বিরাজ করে। আরও পড়ুন চিকিৎসা শেষে সন্ধ্যায় দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল পরীক্ষিত নেতাকর্মীরাই দলের নেতৃত্বে আসবে: তথ্যমন্ত্রী