যুক্তরাষ্ট্রের সব নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহারের পরামর্শ মার্কিন গবেষকদের টিবিটি নিউজ ডেস্ক টিবিটি নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:২৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৮ | আপডেট: ৪:২৭:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৮ নির্বাচনে ভোটের জন্য ব্যালট পেপারের চেয়ে বেশি নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য কোনো প্রযুক্তি এখনও নেই বলে মতপ্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান গবেষকদের সংগঠন ইউএস ন্যাশনাল একাডেমিজ অব সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড মেডিসিন।গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংস্থাটির বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল সেদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টার মধ্যে পুরাতন প্রযুক্তির প্রভাবে অচল হয়ে পড়া মার্কিন নির্বাচন পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।২০২০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয়, রাজ্য এবং স্থানীয় সব পর্যায়ের নির্বাচনে শতভাগ ব্যালট পেপার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞ প্যানেল।‘ভোটের নিরাপত্তা: আমেরিকান গণতন্ত্রের সুরক্ষা’ শীর্ষক ১৫৬ পৃষ্ঠার গবেষণা প্রতিবেদনে বর্তমানে মার্কিন নির্বাচনে নানা প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার ব্যবহারের নেতিবাচক দিক তুলে ধরা হয়।২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচন পদ্ধতিতে বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের বিষয়টি যখন স্পষ্ট হয়ে ওঠে তখনই আলোচ্য গবেষণাটি শুরু হয়। যেসব সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ প্যানেল তার মধ্যে রয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে সব নির্বাচনে সাধারণ ব্যালট পেপার ব্যবহার করতে হবে। ভোটারদেরকে তাদের ভোট সঠিকভাবে রেকর্ড করা হয়েছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করতেই এমন পদ্ধতির সুপারিশ করা হয়।২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতি ৫ জন মার্কিন ভোটারের একজন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট দিয়েছিলেন। কিছু রাজ্যে গত নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং পদ্ধতি পরিবর্তন করা হলেও এখনও ১৩টি রাজ্যে পূর্ণ বা আংশিকভাবে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতি বজায় রয়েছে।যেসব রাজ্যে নির্বাচনে ডিজিটাল ভোটিং মেশিন ব্যবহার থেকে সরে আসছে তাদের প্রশংসা করেছেন গবেষণা প্রতিবেদনটি যারা তৈরি করেছেন তাদের অন্যতম প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞানী এন্ডু এপেল। তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ মার্কিন ভোটাররা এখন ব্যালট পেপারে ভোট দিচ্ছেন। ফলে কম্পিউটার যদি আমাদের সাথে প্রতারণা করে তাহলে নতুন করে গণনা করে ফলাফল নির্ধারনের সুযোগ পাবো।’-এপি, পেস্ট ম্যাগাজিন। আরও পড়ুন করোনায় আক্রান্ত মনমোহন সিং বরিস জনসনের ভারত সফর বাতিল