‘১০ বছর হয়েছে এবার চলে যান’ টিবিটি টিবিটি নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৮:৪১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৮ | আপডেট: ৮:৪১:পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৮ বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এবং যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘এটা খুব সিগনিফিকেন্ট, ইতিহাসের কথা বলে অনেক সহ্য করেছি। ১০ বছর হয়েছে এবার চলে যান।’শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ( জেএসডি) আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।বি চৌধুরী বলেন, ‘কত বড় স্বৈরাচার ছিলেন পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান। ১০ বছরের বেশি টিকে নাই, কিন্তু আমাদের দ্বিতীয় স্বৈরাচার হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ, আরও ১০ বছর টিকেছে।বর্তমানে স্বেচ্ছাচারী সরকার আছে, তাদেরও কিন্তু ১০ বছর। এটা খুব সিগনিফিকেন্ট, ইতিহাস বলে অনেক সহ্য করেছি, ১০ বছর হয়েছে এবার চলে যান। অনেক স্বেচ্ছাচার দেখেছি,আর দেখতে চাই না।’তিনি বলেন, ’১৮-৩৫ বছরের যে জনসংখ্যা বাংলাদেশ ৫ কোটি ১৬ লাখ, আর ১৮-২৮ বছর পর্যন্ত যারা আছেন তারা ভোট বঞ্চিত। এবার তারা প্রথম ভোট দিবেন। ছাত্ররা যারা আছে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। যারা আন্দোলনে নেমেছিল রামদা, লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে।তাদেরই আবার গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা হাতুড়ি, রামদা , লাঠি নিয়ে আক্রমণ করলো তাদের কিন্তু গ্রেফতার করা হয়নি। তাদেরও মা, বাবা আছে, ভোটার আছে। এদের সংখ্যা কতো? কোথায় কাজ করতে হবে আমাদের এটাই বুঝি নাই আমরা এখনও। ১৮-২৮, সর্বোচ্চ ৩৫ এদের বাবা-মা-ভাই বোনদের কাছে যেতে হবে। তাদের বলাও লাগবেনা, তারা জানে কতখানি অত্যাচারিত তারা।’ইভিএমটা দুই রকমের ষড়যন্ত্র এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো নির্বাচন, নির্বাচনের ভিত্তি হলো একটা সঠিক , নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমরা এখনও জানি না শেষ পর্যন্ত গিয়ে কত লাখ, কত কোটি ভুয়া ভোটার তৈরি করা হবে। আমরা ওইদিকে লক্ষ্য রাখছি না, আমরা মেতে আছি ইভিএম নিয়ে। ইভিএমটা দুই রকমের ষড়যন্ত্র। একটা হলো ভোট চুরির ষড়যন্ত্র, আরেকটা হলো রাজনীতিবিদদের দৃষ্টি কেড়ে নিয়ে ইভিএম এর বিরুদ্ধে লড়াই।’আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন প্রমুখ। আরও পড়ুন মোদির ঢাকা সফর নিয়ে দলের অবস্থান জানাবে বিএনপি স্লোগান নিয়ে নেতাদের ধমকালেন মির্জা ফখরুল