১৫ বছর পর ঐক্যবদ্ধ ফিলিস্তিনে নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন আব্বাস টিবিটি টিবিটি আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: ৭:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২১ | আপডেট: ৭:০৬:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২১ মাহমুদ আব্বাস ও ইসমাইল হানিয়াদ্বিধাবিভক্ত ফিলিস্তিনে ২০০৬ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিপুল বিজয় পেয়েছিল ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলন ফাতাহ ক্ষমতা ছাড়তে রাজি না হওয়ায় কেন্দ্রীয়ভাবে সরকার গঠন করতে পারেনি দলটি। পরে গাজায় হামাস এবং পশ্চিম তীরে ফাতাহ সরকার গঠন করে।এর প্রায় ১৫ বছর পর দেশটিতে পার্লামেন্টারি ও প্রেসিডেনসিয়াল নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের অফিস থেকে একটি ডিক্রি জারি করে বিষয়টি জানানো হয়।ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি বছরের আগামী ২২ মে আইনসভা এবং ৩১ জুলাই প্রেসিডেনসিয়াল নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।ফিলিস্তিন বিশ্লেষকরা এই নির্বাচন ঘোষণাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করছেন।ফিলিস্তিনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আব্বাসের ফাতাহ পার্টি ইসরাইল দখলকৃত পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণ করে আর হামাস গাজা উপত্যাকা নিয়ন্ত্রণ করে। এই দুই দলের মধ্যে মতানৈক্য ফিলিস্তিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পথে বাধা ছিল। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের নির্বাচনে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে উভয়পক্ষ আগ্রহ প্রকাশ করছিল।নির্বাচনের ঘোষণায় প্যালেস্টাইন অথোরিটি বিবৃতিতে জানায় ‘প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনের সব এলাকায় গণতান্ত্রিক নির্বাচনের বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন।প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নির্বাচন ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘এমন একটি দিনে পৌঁছানোর জন্য আমরা গত কয়েক মাস যাবত কাজ করেছি।বিবৃতিতে তারা কোনো ধরনের বাধা ও নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ভোটাররা যেন ন্যায্য এবং স্বচ্ছভাবে নিজেদের ইচ্ছা মতো ভোট দিতে পারে সেই ধরনের মুক্ত নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।ফিলিস্তিনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস পুনরায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কিনা তার সংগঠন ফাতাহ সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত প্রদান করেনি। তবে গত বছর ফিলিস্তিনের পলিসি অ্যান্ড রিসার্স সেন্টারের এক বিরল জরিপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া মাহমুদ আব্বাসকে পরাজিত করতে পারেন বলে বলা হয়।মাহমুদ আব্বাসের বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি প্রত্যাশা করেন পূর্ব জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের সব এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তবে ১৯৬৭ সালের ৬ দিনের যুদ্ধে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। ইসরাইলের ডানপন্থি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের অবিভক্ত রাজধানী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সে হিসেবে ওই শহরে তারা নির্বাচন করতে দেবে বলে তেমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। আরও পড়ুন উত্তাল মিয়ানমারে পাল্টা আঘাতের স্লোগান ভাসছে সুইস ব্যাংকের প্রতি বিত্তশালীদের আগ্রহের কারণ