নজরখালী ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি মুক্ত তাহিরপুরের অন্যান্য হাওর
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: নজরখালী বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় হাওরের ফসলের কোন ক্ষতি হবে না বরং অন্যান্য হাওর ঝুঁকি মুক্ত হয়েছে আর পানি আরও বাড়লেও উপজেলার অন্যান্য ফসল রক্ষা বাঁধেরও কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন হাওর পাড়ের কৃষকরা।
নজরখালী বাধঁটি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাংগুয়ার হাওরের পাশেই। রবিবার (২৮ এপ্রিল) ভোর রাতে পানির চাপে বাঁধটি ভেঙে যায়।
এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ফসলেরও কোনো ক্ষতি হয়নি। এর পূর্বেই এই হাওরে আবাদ করা ধান কাটা শেষ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন হাওরের কৃষকগণ।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান উদ্দৌলা জানিয়েছেন, এই বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি আর উপজেলা বৃহত্তর শনি ও মাটিয়ান হাওরসহ অন্যান্য হাওরে কৃষকের জন্য উপকার হয়েছে। এখন পানি বাড়লে নদী দিয়ে টাংগুয়ার হাওর প্রবেশ করবে তাতে ফসল রক্ষা বাঁধগুলো সুরক্ষিত থাকবে। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আশংকা থাকল না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাংগুয়ার হাওরটি সরকার কর্তৃক জলাভূমি ঘোষণা করায় পানি উন্নয়ন বোর্ড নজরখালী ফসল রক্ষা বাঁধটি নির্মাণ করে না। নজরখালী ফসল রক্ষা বাঁধটি সামসাগর হাওর, কলমা হাওর, গনিয়াকুড়ি হাওর, মোকতার খলা হাওর, লুঙ্গাচুঙ্গা হাওর, সেনাডুবি হাওর, ইকরছই হাওর, শালদিগা হাওর, রউয়্যা হাওর ও উলান হাওর, ছটাইন্না হাওর এই হাওর গুলোতে জমির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার একর। প্রতি বছর হাওরপাড়ের কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি নির্মাণ করে কৃষকরা।
আরও জানা যায়, টাঙ্গুয়ার হাওর সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন ও শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন ও মধ্যনগর উপজেলার উত্তর বংশিকুন্ডা ইউনিয়ন ও দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের ৮২টি গ্রাম নিয়ে বিস্তৃত।
টাঙ্গুয়া হাওরপাড়ের জয়পুর গ্রামের কৃষক জসিম মিয়া জানান, রবিবার ভোরে নজরখালী ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে গেলেও হাওরের ফসলের কোন ক্ষতি হবে না। এর পূর্বে কৃষকরা পাকা ধান কেটে ফেলেছে আর যেগুলো আছে সেগুলোও কেটে ফেলতেছে।
জেলার মধ্যনগর উপজেলার দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, নজরখালী বাঁধের ভিতরের বিভিন্ন হাওরের ৬০ ভাগের বেশী পাকা ধান কাটা শেষ, এখন শুধু উঁচু জমির ধান রয়েছে তার কোনো ক্ষতি হবে না পানি বাড়ার পূর্বেই কেটে ফেলতে পারবে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি। এখন উপজেলার অন্যান্য বাঁধ গুলোর দিকে সবাই কে নজর রাখতে হবে।