ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় স্কুল শিক্ষকের কারাদণ্ড

ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য লেখায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এক স্কুল শিক্ষককে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ের আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার (৪ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ জহিরুল কবির এ রায় দিয়েছেন।
দণ্ডিত দেবব্রত দাশ প্রকাশ দেবু দাশের বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়। তিনি হাতিয়ার চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের কাব্যতীর্থ বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ও ২৮ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি Debu das Debe das থেকে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, অশ্লীল, মানহানিকর ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা লেখা পোস্ট করেন। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর হাতিয়া থানায় এসআই হুমাইন কবির বাদী হয়ে মামলা করেন। হাতিয়া থানার মামলা নম্বর: ১(১১)১৭। ২০১৮ সালের ১০ জুন তৎকালীন দেশের একমাত্র ঢাকায় সাইবার ট্রাইব্যুনাল বিচারক মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেনের আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ (সংশোধিত-১৩) এর ৫৭ (২) ধারার অভিযোগ আনা হয়। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেব ব্রত দাস আদালতে দোষ স্বীকার করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ৬ জন ও আসামি পক্ষে ২ জন সাফাই সাক্ষ্য দেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের পিপি মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতের মামলায় দেবব্রত দাস প্রকাশ দেবু দাস নামের এক শিক্ষককে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।