কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আয়োজনে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের অগ্রায়ণ সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩১ মে) বিকাল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ফ্যাকাল্টি অডিটোরিয়াম রুমে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সভাপতি এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী ও ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. হাবিবুর রহমান। এছাড়া কাজী এম আনিছুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার কুমিল্লা জেলার প্রতিনিধি গাজীউল সোহাগ এবং দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার কুমিল্লা জেলার প্রতিনিধি আবদুর রহমান সহ বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
বিভাগের ৬ষ্ঠ ও ৭ম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ এবং ১ম ও ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং পরবর্তীতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক কর্মসূচির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক শাহেদ মুহাম্মদ আলী বলেন, সাংবাদিকতা করতে হলে পাগলের মতো করত হবে। তাছাড়া প্রযুক্তির এই আধুনিক যুগে গতানুগতিক সাংবাদিকতায় এখন আর চলবে না। এজন্য আমাদের সাংবাদিকতার সাথে প্রযুক্তিতেও দক্ষ হতে হবে। সেই সাথে ব্যবসায়ী মডেলিং নিয়ে জ্ঞান রাখতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে আমাদের সমাজ, দেশ, বিশ্বমানবতার জন্য কাজ করতে হবে। সেই সাথে সাংবাদিক হিসেবে সংবাদের শব্দ চয়নে সচেতন হতে হবে। সাংবাদিকতাকে পজিটিভভাবে চর্চা করতে হবে। নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি সৃজনশীল, গঠনমূলক ও কমিউনিকেটিভ পড়াশোনার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি কাজী এম আনিছুল ইসলাম বলেন, একটা সময় ছিল সাংবাদিকতা মানে শুধু তথ্য জানানো। এখন আর সাংবাদিকতায় পড়াশোনা করে শুধু তথ্য জানানোতে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। এখন সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে পড়াশোনা করতে হবে, সাংবাদিকতা করতে হবে অপ-সাংবাদিকতাকে প্রতিহত করার জন্য।