অসুস্থতার অজুহাত, তারপর লন্ডনে ঘোরাঘুরি, নিষিদ্ধ দুই বাংলাদেশি খেলোয়াড়

চোটের অজুহাত দেখিয়ে না খেলে লন্ডনে ঘুরতে বের হওয়ায় দুই বাংলাদেশি টেবিল টেনিস খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন। ওই দুই খেলোয়াড় দুজন হচ্ছেন সোনাম সুলাতানা ও সাদিয়া রহমান। তাদেরকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তিন বছর ও ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় দুই বছর নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন।
ঘটনার সূত্রপাত ৫ আগস্ট। সেদিন এই দুই টেবিল টেনিস খেলোয়াড়ের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নারী দ্বৈত মিশ্র ইভেন্টের খেলা ছিল। তবে ম্যাচটি তারা না-খেলে গেমস ভিলেজ থেকে বেরিয়ে বরং বেড়াতে যায় আত্মীয়ের বাসায়।
তাদের দুইজনের সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো খবর নিতে পারেননি কর্মকর্তারা। যার ফলে ম্যাচটি ওয়াকওভার দিতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ। পরবর্তীতে দেশে এলে দুইজনকে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তবে ৭২ ঘণ্টা পরও তাদের থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। যার ফলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদের নিষিদ্ধ করে ফেডারেশন।
শনিবার (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই এই দুই টেবিল টেনিস খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “৫ আগস্ট দ্বৈত ইভেন্টে আমাদের খেলা ছিল। ওইদিন তারা দুইজনই গেমস ভিলেজের বাইরে ছিলেন। যে কারণে ম্যাচটি ওয়াকওভার দিতে হয়। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সম্মানহানি হয়েছে। তাই কার্যনির্বাহী কমিটির সবার সম্মতিক্রমে তাদেরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হলেও এখনই নিষিদ্ধ হচ্ছেন না এই দুই খেলোয়াড়। বৈঠকের পর তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে হবে। সেখানে সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে নিষিদ্ধ হবেন এই দুই টেবিল টেনিস খেলোয়াড়।
শৃঙ্খলার ব্যাপারে কোনো ধরনের দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, “খেলাধুলায় সবার ওপরে শৃঙ্খলা। এর আগে ক্যাম্প না করার কারণে অনেক তারকা খেলোয়াড় বাদ পড়েছে। কমনওয়েলথ গেমসে যেটা ঘটেছে, সেটা বড় অপরাধ। এরপরও তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে।”
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নিষিদ্ধ হতে যাওয়া সোনাম। তিনি বলেন, “আমরা গেমস ভিলেজেই ছিলাম। অন্য কোথাও বেড়াতে যাইনি। ভিলেজে থাকার সব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। তারপরও কেন ফেডারেশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানি না। তাছাড়া এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোনো চিঠিও পাইনি। তবে চিঠি পেলে সেটার জবাবও দিতে প্রস্তুত আছি।”