তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল, নিহতের সংখ্যা ১৯০০ ছাড়ালো

একই দিনে দুবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে তুরস্ক ও সিরিয়া। প্রথমে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এবার ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে তুরস্কে, যে আঘাতের ধাক্কা লেগেছে সিরিয়াতেও। খবর আল জাজিরার।
শক্তিশালী ভূকম্পনের ধাক্কা টের পাওয়া গেছে সুদূর গ্রিনল্যান্ড পর্যন্ত। গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের ভূতত্ত্ব জরিপ বিভাগ এ তথ্য জানায়।
এর আগে দিনের শুরুতে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপে সিরিয়া সীমান্তের কাছে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।
আল জাজিরার খবর অনুসারে, ভূমিকম্পে সিরিয়া ও তুরস্ক মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যে এক হাজার ৯০০ ছাড়িয়েছে। এ দুই দেশের বাইরে লেবানন ও সাইপ্রাসেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। এরমধ্যে ১ হাজার ১২১ জনের বেশি তুরস্কে এবং সিরিয়ায় ৭৮৩ জনের বেশি নিহত হয়েছে।
উদ্ধার অভিযানের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সহায়তা চেয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ সংস্থা ।
তুরস্কের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলটি সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে ছিল। তাই ভয়াবহ হতাহতের শিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটিও।
সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে বলে সিএনএন জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে।
নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন।
তুরস্কে সোমবারের এই ভূমিকম্পকে ১৯৩৯ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। সেবার একই মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। বিগত ২৫ বছরে সাতবার তুরস্কে ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এবারের ভূমিকম্প সবচেয়ে শক্তিশালী বলছেন ভূতত্ত্ববিদরা।
কম্পনের তীব্রতা এবারে এতই বেশি ছিল যে মূল ভূমিকম্পের পর অন্তত ৬৬টি পরাঘাত অনুভূত হয়।