তাজউদ্দীন আহমদ অ্যাওয়ার্ড পেলেন ঢাবি’র ৭ কৃতী শিক্ষার্থী
২০১৯ সালের বিএসএস সম্মান পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের মেধাবী ছাত্রী মাহাবুবা ইসলাম মিম ‘তাজউদ্দীন আহমদ শান্তি স্বর্ণপদক’ লাভ করেছেন। এছাড়া, একই বিভাগের ছাত্রী তিথি দেবনাথকে ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি’ প্রদান করা হয়েছে। রচনা প্রতিযোগিতায় যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান লাভ করায় বিভিন্ন বিভাগের ৫জন শিক্ষার্থীকে ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড পুরস্কার’ প্রদান করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে পদক, বৃত্তি ও পুরস্কার তুলে দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. আহমাদ মোস্তফা কামাল স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন। স্বাগত ভাষণ দেন ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ডে’র দাতা মিসেস শারমিন আহমদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অতি ঘনিষ্ঠ সহচর ও বিশ্বাসভাজন। ষড়যন্ত্রকারীরা তাজউদ্দীন আহমদের চিন্তা-চেতনার গভীরতা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বলেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও স্বাধীন বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। হৃদয়ে গভীর দেশপ্রেম ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন আহমদ ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। যারা তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা ধ্বংস করতে চায় তাদের ব্যাপারে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য উপাচার্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
তাজউদ্দীন আহমদ রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলেন- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মো. সাকিবুর রহমান, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মো. ইমতিয়াজ জামান শান্ত, আইন বিভাগের তাবাসসুম তালুকদার মীম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আতিয়া সাবিহা এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সায়মা হক এলিন।