১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস, ইতিহাসের অন্ধকারতম অধ্যায়
যশোর প্রতিনিধিঃ গভীর শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধায় সকল শহীদকে স্মরণ করে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষ্যে আজ সকাল ৯টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম দুই লাখ চার হাজার পাঁচশতটি ও মোস্তফা আশীষ ইসলামের দুই লাখ চার হাজার পাঁচশতটি সর্বমোট চার লাখ নয় হাজার টি ভয়েস কল চৌগাছা ও ঝিকরগাছা উপজেলার ভোটার সাংবাদিক সহ শুভাকাঙ্খীদের প্রেরণ করা হয়।
এছাড়া মোস্তফা আশীষ ইসলামের পক্ষ থেকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ঝিকরগাছা ও চৌগাছা পৌরসভার ৫৫টি মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠান ও পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে শোক বার্তা জানিয়ে দেওয়াল লিখন কার্যক্রম করা হয়।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের ভয়েস কলে বলা হয়, “ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ভোরের আলো ফোটার আগেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে ঐতিহাসিক বাড়িটিতে ঘাতকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধুকে নৃশংভাবে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর নিকট আত্মীয় সহ মোট ২৬ জন সেদিন শহীদ হন। কেবলমাত্র তাঁর দুই মেয়ে- শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান। ঘাতকের বুলেট বঙ্গবন্ধুর নশ্বর দেহকে বিলীন করলেও তিনি অবিনশ্বর। বাঙালির পরিচয়ে, ইতিহাস, মানচিত্র, পতাকা আর স্বাধীনতায় তিনি মিশে আছেন, মিশে থাকবেন। জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবসে শহীদদের প্রতি জানায় বিনম্র শ্রদ্ধা।
জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী,অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং মোস্তফা আশীষ ইসলামের ভয়েস কলে বলা হয়,“১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বাঙ্গালীর ইতিহাসে কালো অধ্যায়। সে কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে তাঁর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল এবং বঙ্গবন্ধুর দুই পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল কে। তাদের পরিবারের সদস্য এবং বঙ্গবন্ধুর নিকট আত্মীয় সহ মোট ২৬ জন সেদিন শহীদ হন। বর্বর হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যা করার সাহস পাই নি, সেটিই করেছিল এ দেশের কিছু কুলাঙ্গার। ঘাতকরা এ দেশ থেকে জাতির পিতার নাম মুছে দিতে চেয়েছিল কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন কোন দিনই পূরণ হয়নি, হবেও না।
হে পিতা, তুমি ছিলে, তুমি আছো, তুমি থাকবে আমাদের হৃদয়ে। জাতির পিতার ৪৮ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে সকল শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। মোস্তফা আশীষ ইসলাম, সদস্য , যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু”