তিতাসে নিখোঁজের ৩দিন পর শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
মো: জুয়েল রানা, তিতাস প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় নিখোঁজের তিনদিন পর আরিয়ান(৭) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কড়িকান্দি ইউনিয়নের কলাকান্দি গ্রামের বজলুর রহমানের বালু ভরাটকৃত জমির কাশবন থেকে এই অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। নিহত আরিয়ান কলাকান্দি গ্রামের মাষ্টার বাড়ির সৌদি প্রবাসী আবুল কাশেম ও খোরশেদা দম্পত্তির এক মাত্র ছেলে আরিয়ান।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, আরিয়ান কড়িকান্দি বাস স্টেশন সংলগ্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পেরুজল ইসলামিলক স্কুলে প্লেতে পড়তো বুধবার বিকেলে আরিয়ান খেলতে বের হলে সন্ধ্যার পর থেকে আর তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। এঘটনায় নিহতের মা খোরশদা বেগম শুক্রবার তিতাস থানায় একটি নিখোজ জিডি করেন। জিডির খবর শুনে নিহতের জেঠী শেফালী বেগম একই গ্রামের আলম মিয়ার স্ত্রী শাহিদা আক্তারকে থানায় পাঠান তার নামে মামলা করেছে কি না জানার জন্য। তখন পুলিশ শাহিদাকে আটক করলে শেফালী থানায় এসে শাহিদাকে ছাড়িয়ে দিয়ে নিজেই পুলিশ হেফাজতে রয়েযান। পরে শেফালীর শশুরসহ স্বজনরা থানায় এসে রাত বারোটায় শেফালীকে জিম্বায় নিলে শনিবার দুপুরে কাশবন থেকে আরিয়ানের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের খালা শারমিন বলেন, শেফালী আমার বোনের ছেলেকে হত্যা করেছে। কেনো হত্যা করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বোনের একমাত্র ছেলে আরিয়ান তাকে মেরে ফেললে ওয়ারিশ সুত্রে আমার বোনের সকল সম্পত্তির মালিক হবে।
এবিষয়ে শেফালীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলে হৃদয়(২২) আরিয়ানের বোন সুমনার প্রেম ছিল। আমার ছেলের লাখ লাখ টাকা সুমনা খেয়ে এখন সে অন্যত্র বিয়ে করেছে। এ নিয়ে তাদের সাথে আমার ঝগরা হয়েছে একারনে আমাকে সন্দেহ করে আমিও আরিয়ান হত্যাকারীর বিচার চাই।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, শুক্রবারে আরিয়ানের মা তিতাস থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।আমরা তাৎক্ষনিক সকল থানায় ম্যাসেস দিয়েছি এবং ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। শনিবার সকালে খবর পাই কাশবনে একটি অর্ধগলিত লাশ দেখা যায় তাৎক্ষণিক আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে গেলে নিহতের স্বজনরা এসে লাশ সনাক্ত করে।পরবর্তীতে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিকেলে আমার উর্ধতন কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার পিজুষ চন্দ্র দাস ঘটনা স্থলে আসেন এবং নিহতের পরিবারসহ এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে বিস্তারিত জেনেছেন। আশা করি খুব দ্রুত খুনিকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারবো।