মালদ্বীপে দুই ব্যবসায়ীর সহযোগিতায় দেশে গেলেন ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত প্রবাসী সেলিম হাওলাদার

ওমর ফারুক খোন্দকার, মালদ্বীপ প্রতিনিধি: দৈনিক জাতীয় পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে, দুরারোগ্য ব্যাধি-ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হতদরিদ্র মালদ্বীপ প্রবাসী বাংলাদেশী মো. সেলিম হাওলাদার (৪২) এর উন্নত চিকিৎসা নিতে, দেশে পিরে যাওয়ার জন্য চাওয়া সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে আর্থিক অনুদান ও এয়ার টিকেট দিয়ে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন প্রবাসী তরুণ দুই ব্যবসায়ী ফোর এল ইন্টারন্যাশনাল এর কর্ণধার মো. হাদিউল ইসলাম এবং ঢাকা ট্রেডার্স এর কর্ণধার মো. বাবুল হোসেন।
মালদ্বীপের এই উদীয়মান তরুণ দুই ব্যবসায়ীর কয়েকদিন আগে দৈনিক পত্রিকা ও ফেসবুকের একটি মানবিক আবেদনে দৃষ্টিগোচর হন। প্রবাসে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ৬ বছর পূর্বে মালদ্বীপে পাড়ি জমানো অবৈধ কর্মী ঝালকাঠি জেলার, কাটুলিয়া উপজেলার, লেবু বনিয়া গ্রামের মরহুম সামছুল হক হাওলাদার এর তৃতীয় পুত্র মো. সেলিম হাওলাদার মালদ্বীপে কর্মরত অবস্থায় তার বাসায় ব্রেইন স্ট্রোক করে বাম সাইড প্যারালাইজডে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তার পরিবারটি আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হওয়ার কারণে মালদ্বীপে প্রবাসী সেলিম এর দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছিলো না। প্রবাসী ব্যবসায়িক হাদিউল ইসলাম ও বাবুল হোসেন এর ভীষণভাবে নাড়া দেয় বিষয়টি তাদের নজরে আসাতে।
এই প্রবাসীর খোঁজ নিয়ে গত ১৯ মার্চ রবিবার হাসপাতালে তাকে দেখতে ছুটে যান মানবিক ব্যক্তিত্ব এই দুই ব্যবসায়ী। প্রবাসী সেলিমের গুরুতর অবস্থা দেখে তাকে দ্রুততম দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য আর্থিক সহায়তা ও এয়ার টিকেট প্রদান করবেন বলে তারা আশ্বস্ত করেন। অতঃপর আজ শুক্রবার ২৪ মার্চ সকালে এই অসুস্থ প্রবাসীর ভগ্নীপতি মো. লালচান এর কাছে দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে আর্থিক/এয়ার টিকেট হস্তান্তর করেন দুই ব্যবসায়ীর পক্ষে আবু জাহের মোল্লা, দুলাল আল মাইজভান্ডারি, আনোয়ার হোসেন রাজু।
উল্লেখ্য, ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ৬ বছর পূর্বে মালদ্বীপে পাড়ি জমানো অবৈধ কর্মী সেলিম এর ভালোভাবেই চলছিল প্রবাস জীবন। গত কিছুদিন পূর্বে হঠাৎ ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে, দুর্যোগ নেমে আসে তার এই প্রবাস জীবনে। দীর্ঘদিন মালদ্বীপের আইজি এম এইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন এই বাংলাদেশী। পূর্বের চেয়ে তার চিকিৎসার কিছুটা অগ্রগতি হলেও, ডাক্তারদের পরামর্শ ছিলো তার দরকার দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার পাশাপাশি পারিবারিক সেবা। এমন অবস্থায় সেলিম এর চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহের পাশাপাশি তাকে দেশে পাঠাতে বাংলাদেশ দূতাবাস, মালদ্বীপ প্রবাসীসহ সমাজের বিত্তশালীদের সহযোগিতা চেয়ে দৈনিক পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিল অসুস্থ প্রবাসী সেলিম এর ভগ্নীপতি মালদ্বীপ প্রবাসী মো. লালচান।