সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা, নিহত ১১

সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর ওপর একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, হামলায় ইরানপন্থী ১১ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এর আগে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী ড্রোন হামলায় এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কন্ট্রাক্টর নিহত ও পাঁচ সেনা আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এই বিমান হামলায় চালিয়েছে মার্কিন সেনারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর তথ্য মতে, আহত ওই ঠিকাদার ও তিন সেনাকে চিকিৎসার জন্য ইরাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেশটিতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইরত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর মেডিকেল স্থাপনা রয়েছে। আহত অপর দুই মার্কিন সেনাকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় ওই ঘাঁটিতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ড্রোন হামলার জন্য ইরানপন্থি একটি গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে ওয়াশিংটন। এরপরই সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে গোষ্ঠীটির অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি পর্যবেক্ষক সংস্থা বলেছে, হামলায় গোষ্ঠীটির ১১ জন সদস্য নিহত হয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনটির উৎস দেশ ইরান। বিমান হামলার ব্যাপারে এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে ইরানের ইসলামিক রেভোলুশনারি গার্ডস কোর (আইআরজিসি) সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
অস্টিন আরও বলেন, ‘আইআরজিসির সঙ্গে সম্পর্কিত গোষ্ঠীগুলো সিরিয়ায় জোট বাহিনীর ওপর একাধিক হামলা চালিয়েছে। ওইসব হামলার প্রতিক্রিয়ায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। কোনো গোষ্ঠী আমাদের সেনাদের ওপর হামলা চালিয়ে শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না।’
সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের ওপর প্রায়ই ড্রোন হামলার চেষ্টা হয়ে থাকে। তবে এবার একজন নিহত ও ছয়জন আহত হওয়ার ঘটনা বেশ অস্বাভাবিক। এ ঘটনায় ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যকার সম্পর্কে আরও উত্তেজনা তৈরি করবে।