পানির নিচে পারমাণবিক হামলায় সক্ষম ড্রোনের পরীক্ষা চালালো উ.কোরিয়া

উত্তর কোরিয়া এবার পানির নিচে পারমাণবিক হামলায় সক্ষম ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ জানায়, এই ড্রোন শত্রু, নৌযান এবং বন্দরগুলোকে উড়িয়ে দেবে। খবর বিবিসির।
কেসিএনএ শুক্রবার(২৪ মার্চ) জানায়, ‘এই পারমাণবিক আন্ডারওয়াটার অ্যাটাক ড্রোনটি যে কোনও উপকূল এবং বন্দরে মোতায়েন করা যেতে পারে বা অপারেশনের জন্য একটি সারফেস জাহাজ দিয়ে টানা করা যেতে পারে।’
বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, মহড়া চলাকালীন মঙ্গলবার ড্রোনটিকে দক্ষিণ হামগিয়ং প্রদেশের পানিতে রাখা হয়েছিল। বিস্ফোরণের আগে প্রায় ৮০ থেকে ১৫০ মিটার (২৬০ থেকে ৪৯০ ফুট) গভীরতায় ৫৯ ঘণ্টা ১২ মিনিট ধরে পানির নিচ দিয়ে চলে এটি। বৃহস্পতিবার পূর্ব উপকূলে বিস্ফোরিত হয় এটি।
কেসিএনএ ড্রোনের পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি।
চলতি বছরের শুরু থেকেই ধারাবাহিক ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে কিম জং উনের দেশ। পিয়ংইংয়ের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় গত ১৩ মার্চ থেকে দ. কোরিয়াকে নিয়ে গত পাঁচ বছরের মধ্যে বড় ধরনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘ফ্রিডম শিল্ড’ নামের মহড়া ১০ দিন ধরে চলবে বলে জানা গেছে। দ. কোরীয় সামরিক বাহিনী বলছে, যৌথ সামরিক মহড়ার সফল সমপন্ন হবে।
এ ধরনের সামরিক মহড়াকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে কিম জং উনের প্রশাসন। ফলে অপ্রতিরোধ্য পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে দেশটি। সম্প্রতি কিম জং কোরীয় সেনাবাহিনীকে সত্যিকার যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশও দিয়েছেন।