ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম পর্বের ভোটের পর পুরো চালচিত্রটা বদলে গেছে। বিশেষ করে শাসক দল বিজেপির জন্য। এই বদলের একটা বড় কারণ বলা হচ্ছে, ভোট পড়ার হার আগেরবারের তুলনায় কম হওয়া।
এটা শাসক দলের প্রধান মুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সেকেন্ড ইন কমান্ড অমিত শাহকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। চিন্তার কারণ এখানে যে, এতদিন কেন্দ্র ও রাজ্যে যে সাফল্য পেয়েছে, তার সবটা কৃতিত্বই নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ফলে এবার যদি খারাপ করে তাহলে দোষের ভাগীদারও হবেন একমাত্র তিনি।
আর যে ইতিহাস তৈরির রূপকল্প ইতিমধ্যে তাঁর সহযোগীরা তৈরি করে রেখেছেন, তা হয়তো অন্যভাবে লেখা হবে। শুধু অত্যাচারিত বিজেপি-বিরোধীরা নন, বিজেপির মধ্যে অনেকে ঘাপটি মেরে বসে আছেন এই সুযোগের অপেক্ষায়।
এ জন্য হঠাৎ করেই বদলে গেছে নির্বাচনী জনসভায় ভোটারদের উদ্দেশ্যে দেওয়া নরেন্দ্র মোদির ভাষণ। যা হোক, শুরুটা বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহার দিয়ে করা যাক। ২০২৪-এর ভারতের শাসক দলের ইশতেহারের প্রচ্ছদে বিজেপি নামের উল্লেখ খুব ছোট করে লেখা আছে।
এর নামকরণ করা হয়েছে ‘মোদি কি গ্যারান্টি’; নিচে ছোট করে লেখা আছে ‘ফির এক বার/ মোদি সরকার’। অর্থাৎ সবটাই মোদিময়, ইশতেহারে বিষয়টি স্পষ্ট। অতএব দায় তো আসবেই। আর ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার সবকিছুর জন্য কংগ্রেসকে দুষলে কেউ তা পাত্তা দেবে না, এটাই দস্তুর।
তবে ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামের এই ইশতেহারে কোথাও দ্রব্যমূল্যের রাশ টানার, বিপুল বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান, বিতর্কিত এনআরসি (নাগরিকত্ব বিষয়ক আইন), কাশী-মথুরার মন্দির–এসব কিছু নেই। রামমন্দিরের কথা থাকলেও তেমন উল্লেখ করার মতো নয়।
বিজেপির পিতৃ-সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) জনসংখ্যা নীতি প্রণয়ণের ওপর মোদি সরকারকে চাপ দিচ্ছে দীর্ঘদিন। কিন্তু ‘মোদি কি গ্যারান্টি’-তে তা কানে তোলেনি বিজেপি। বরং ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবার্ষিকীতে দেশ কোথায় যাবে, আছে তারই স্বপ্নকথা।
এসব দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ভাবছিলেন, বিজেপি হয়তো তার চিরাচরিত উগ্র হিন্দুত্ববাদের লাইন থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রথম পর্বের ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির ভাষণগুলো শুনুন। এইসব স্বপ্নকথাই পাবেন। তার মাঝে একটু–আধটু অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, রামমন্দির—এই আরকি!
কিন্তু প্রথম পর্বের পর কী যে হলো, সবকিছু বদলে গেল এক লহমায়। এর জন্য শুধু ভোটারের কম উপস্থিতিকে দায়ী করলে ভুল হবে। কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলোকে এ জন্য অবশ্যই ক্রেডিট দিতে হবে। তারা তাদের পুরো নির্বাচনী প্রচারকে সাধারণ মানুষের কাছে জীবনমুখী করে তুলতে পেরেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লাগামহীন দাম, অসহনীয় বেকারত্ব, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না থাকা, বাবাসাহেব আম্বেদকারের প্রণীত সংবিধান পাল্টে ফেলার অপতৎপরতা—এসবই তুলে ধরছে তারা।
তাদের প্রচারে কোথাও মোদির সরকারের দুর্নীতি, রামমন্দির, কারও প্রতি ব্যক্তিগত আক্রমণ—এসব কিছুই নেই। বরং তারা এটা মানুষকে কিছুটা হলেও বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, ইন্ডিয়া জোট করাই হয়েছে, ভারতের সংবিধানকে বাঁচাতে, সাধারণ মানুষের কষ্ট একটু হলেও লাঘব করতে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নয়। এক্ষেত্রে দিল্লি ও পাঞ্জাবের আম আদমি পার্টির সরকার, কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিভিন্ন জনমুখী নীতি প্রভাব ফেলে থাকতে পারে।
নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ না করে সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরার পরামর্শ কংগ্রেসকে দিয়েছেন তাদের ভোট পরামর্শক সুনীল কানুগোলু। ২০১৯-এ মোদিকে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ আখ্যায়িত করে দেওয়া রাহুলের বয়ান হিতে-বিপরীত হয়েছিল।
সুনীলের দাওয়াই যে কাজে দিয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির শীর্ষ নেতাদের প্রতিক্রিয়ায়। তাঁরা আবার ফিরে গেছেন আগের রূপে, স্বমহিমায়। আরফা খান শেরওয়ানি নামে দ্য ওয়্যারের একজন সাংবাদিক এটাকে খুব ভালোভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি বা আরএসএস যখন কোনো বড় বিপাকে পড়ে পরিত্রাণের পথ খুঁজে পায় না, তখনই খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরে মন্দির, মুসলমান, কাশ্মীর ও পাকিস্তান।
এই ন্যারেটিভই তাদের পরশপাথর, যা চরম বিপদে তাদের উদ্ধার করে। আসলে উন্নয়ন, অগ্রগতি—এসব দিয়ে আর যাই হোক বিজেপির ভোট হয় না। তাই বিভাজনের রাস্তায় না হেঁটে অভাজন হওয়ার মতো নির্বুদ্ধিতা টিম মোদি দেখাবে না।
গত ১৯ এপ্রিল প্রথম পর্বের ভোট হয়েছে। ২১ এপ্রিল রাজস্থানের বাঁশোয়াড়ায় এক নির্বাচনী জনসভায় নরেন্দ্র মোদি কোনো রাখঢাক না করেই দাবি করলেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং অতীতে বলেছিলেন, দেশের সম্পদে সর্বাগ্রে অধিকার মুসলমানদের।
সেই কারণে সমীক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। যাতে দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলমান ও অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া যায়।’ এখানে শেষ নয়। বৃহত্তর হিন্দু মনস্তত্ত্বে ‘মুসলমান ভয়’ ঢোকানোর কৌশল মোদির চেয়ে খুব কম বিজেপি নেতাই ভালো জানেন।
সে কারণে ওই জনসভায় তিনি টার্গেটই করলেন উপস্থিত নারীদের। বললেন, ‘কংগ্রেসের ইশতেহারে বলা হয়েছে, সবার ধনসম্পত্তি কেড়ে নেবে তারা। তারপরে সেসব সম্পদ তাদের মধ্যে বিতরণ করবে, যাদের বাচ্চাকাচ্চা বেশি। আপনারা বুঝে নিন কাদের কথা বলছি। এসব শহুরে নকশালদের কথা, যাদের কথায় চলে কংগ্রেস।
অর্থাৎ, কংগ্রেসের হাতে মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র (যে হার বিবাহিত হিন্দু নারীরা পরেন এবং একে শুভ বলে মনে করা হয়) নিরাপদ নয়। তারা তা কেড়ে নেবে। তারপর সেসব কাদের কাছে বিলি করে দেওয়া হবে?
অনুপ্রবেশকারীদের কাছে বিলি করে দেওয়া হবে। আপনারা কি তা হতে দেবেন?’ এরপর উত্তর প্রদেশের আলিগড়সহ একাধিক স্থানে মোদি একই কথা বারবার বলে চলেছেন। ওইসব জনসভায় মোদি একাধিকবার ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে তাতে উপস্থিত লোকজনকে তাঁর সাথে গলা মেলাতে বলেছেন। অথচ ভারতের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ধর্ম, জাতপাতসহ কোনো কিছুর ভিত্তিতে ভোট চাওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এটা কি মোদির বিরোধীপক্ষ জানে না? তারা কী করছে? কংগ্রেস ইতিমধ্যে মনমোহন সিংয়ের ২০০৬ সালে দেওয়া বক্তব্যের ১ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিয়েছে। এতে প্রমাণ হয়ে গেছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি একেবারেই অসত্য বলেছেন। মোদির ভাষণের রেকর্ড নিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছে। তাদের ৪৮ পৃষ্ঠার ইশতেহারে কোথাও যে কারও সম্পদ কেড়ে নেওয়ার কথা বলা নেই, সেটা তারা স্পষ্ট করেছে।
কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ও অন্য দুই কমিশনার নির্বিকার। তাঁদের কাছে ভারতের হাজার হাজার নাগরিক চিঠি লিখে বলেছেন, মোদি কংগ্রেস ও মুসলমানদের নিয়ে জনসভায় যা বলেছেন, তা ভয়ঙ্কর। মুসলমানদের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি আক্রমণ করেছেন।
কমিশন ব্যবস্থা না নিলে তা এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে। সামাজিক মাধ্যমে অবশ্য ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা উপহাসের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেন, এই কমিশনে প্রয়াত প্রধান নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশনের দেহভস্মটুকুও নেই।
অনুপ্রবেশকারীদের বাচ্চাকাচ্চা বেশি বলে প্রধানমন্ত্রী মোদি যে উপহাস করেছেন, তার জবাব দিয়েছেন যুব কংগ্রেস নেতা শ্রীনিবাস। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে মোদির বংশলতিকা তুলে ধরেছেন। দেখিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদির পিতামহের ছয় পুত্র। তাঁদের মধ্যে মোদির বাবা দামোদরদাসের পাঁচ পুত্র ও এক কন্যা।
তাই অন্যের সন্তান সংখ্যা নিয়ে মোদির কটাক্ষ নেট দুনিয়ায় হাসির উপলক্ষ তৈরি করেছে। এমনকি বিবাহিত হিন্দু নারীদের কাছে পবিত্র মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেওয়ার কথা বলায় নেটিজেনরা এ প্রশ্ন তুলছেন, যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীর মঙ্গলসূত্র রক্ষা করতে পারেন না, তিনি অন্যদের নিয়ে কথা বলেন কীভাবে? উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদি যশোদাবেন নামে একজন নারীকে বিয়ে করলেও কখনো সংসার করেননি। এমনকি তাঁদের ছাড়াছাড়িও হয়নি।
অন্যদিকে এর চেয়ে অনেক ছোট অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস জোটের সঙ্গী শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরেকে দুই দফা নির্বাচনী আচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগে নোটিশ দিয়েছে। উদ্ধব নোটিশের কোনো জবাব দেননি। তিনি সাংবাদিকদের ডেকে শুধু মোদির ভাষণের বিতর্কিত অংশ শুনিয়ে দিয়ে উঠে গেছেন।
এদিকে বিজেপি নেতা ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আরেকগুণ বাড়া। উত্তর প্রদেশে এক জনসভায় তিনি বলেই ফেলেছেন, কংগ্রেস ও তার শরিক দলগুলো সরকার গঠন করলে তারা ভারতে শরিয়া আইন চালু করবে।
২১ এপ্রিল মোদির বক্তব্যের পরই বিভিন্ন স্তরের বিজেপি নেতারা ভারতের ২০ কোটি মুসলমানকে টার্গেট করে বিদ্বেষী বক্তব্য দিতে শুরু করেছেন। অন্য একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে খানিকটা।
ভারতে প্রথম দুই পর্বের ভোট পড়েছে শুক্রবার। স্বাভাবিকভাবে বিজেপি নেতৃত্ব ধরে নিয়েছিলেন, এদিন জুম্মার প্রস্তুতি ও নামাজের জন্য অনেক মুসলমান ভোট কেন্দ্রে হয়তো যাবে না বা যাওয়ার সময় পাবে না।
কিন্তু উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ভোট কেন্দ্রগুলোতে দেখা যায়, পাঞ্জাবি ও টুপি পরা ভোটারের দীর্ঘ লাইন। এ থেকে স্পষ্ট হয়, তাঁরা ভোট নষ্ট করতে চাননি। ফলে নামাজ পড়েই দলে দলে ভোট দিতে হাজির হয়েছেন।
আর এরা কেউই যে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য আসেননি, এটা তো ওই দল জানে। সে কারণে ভোট কেন্দ্রগুলোতে হঠাৎই ভোটারদের নিরুৎসাহিত করতে লাইনে ভোটার কার্ড চেক করা শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী।
অথচ নির্বাচনী কর্মকর্তা ছাড়া কারও ভোটার কার্ড যাচাই করার কোনো অধিকার নেই। এসব কেন্দ্রের ভিডিও মুহূর্তে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতে থাকে। ২০ কোটি মুসলমানের মধ্যে ভোটাররা যদি এভাবে দলে দলে ভোট কেন্দ্রে আসে এবং নিজেদের নেতা-কর্মীরা ঘরে বসে থাকে, তাহলে তো সত্যিই বিজেপি নেতাদের চিন্তিত হওয়ারই কথা।
ফলে মুসলমানরাই শেষ পর্যন্ত বিজেপির অন্তিম ভরসার স্বপ্নগাথা তৈরি করতে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে সাহায্য করেছে। ‘আর বার চার শ পার’–এই কথার ঢক্কানিনাদে বিজেপির নেতা-কর্মীরা ধরেই নিয়েছিলেন জয় তো হাতের মুঠোয়। তাহলে এই গরমে কষ্ট করার দরকার কী?
এতে আত্মতুষ্টি যেমন আছে, তেমনি ১০ বছরে না-পাওয়ার কারণে অনীহাও যোগ হয়েছে। হিন্দিভাষী অঞ্চল, যা গো-বলয় নামে পরিচিত, সেখানে অধিকাংশ রাজ্যে গত ১০ বছর ধরে ডবল ইঞ্জিন সরকার (কেন্দ্র ও রাজ্যে বিজেপি শাসন) চলছে। ফলে চাকরি, ব্যাংকঋণ, ফসলের দাম, উচ্চশিক্ষার খরচ বৃদ্ধি—এসব নিয়ে কাকে দোষারোপ করবেন বিজেপির সাধারণ নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা? ঘুরেফিরে দোষ তো বিজেপির ঘাড়েই আসে।
আরও ছয় পর্বে ৪৪১টি আসনে নির্বাচন বাকি। তার আগে এই নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে একমাত্র দাওয়াই ধর্মীয় বিদ্বেষের কালো মেঘকে আরও গাঢ় করা। সাথে আমরা আর তারা (অনুপ্রবেশকারী)-র বিভাজনকে যতটা সম্ভব বাড়িয়ে দেওয়া।
প্রথম দফার ভোটের পর দিল্লিতে ২১ এপ্রিল গভীর রাতে বৈঠকে বসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এল সন্তোষ। তাঁরা একের পর এক রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের ভিডিও কলে যুক্ত করেন।
এই ই-মিটিংয়ের অ্যাজেন্ডা ছিল—ভোট কেন কম পড়েছে ও দলের নেতা-কর্মীরা কোথায়। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাত কাটান নাগপুরে, যা আরএসএস-এর সদরদপ্তর বলে পরিচিত। সেখানে আরএসএস-এর সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সাথে কথা বলে অনুমতি নিয়ে এই ধর্মীয় বিভাজনের লাইনে মোদি হাঁটতে শুরু করেন বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।
আর তাঁকে অনুসরণ করছেন অন্য বিজেপি নেতারা। এই দাওয়াইয়ে বিজেপির আসন সংখ্যা চার শ পার হবে, না ২৭২-এর নিচে নামবে, তা ৪ জুনই বলে দেবে। তবে আগামীকাল শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল এর প্রথম পরীক্ষা।