গাছ কাটার অভিযোগ, ৭ দিনে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ
আবিদ হাসান, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার হারুকান্দি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে ফৈজনগর গ্রামের মোঃ রাসেল খানসহ আরও ৩ জন হরিরামপুর থানায় স্ব-শরীরে এসে গত ১০ অক্টোবর ২জনের নামে জোর পুর্বক বাড়ির উঠানে পুরনো বিভিন্ন গাছ, সবজি কেটে ফেলার অভিযোগ দায়ের করেন ২ জনের নামে। অভিযোগের ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও থানার পক্ষ হতে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি বলে ক্ষতিগ্রস্ত ৫/৬ টি পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
রাসেল কতৃক লিখিত অভিযোগে দেখা যায়, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী মোঃ রাসেল খান (৩৫), পিতাঃ মোঃ ইকরাম খান, সাং- ফৈজনগর, থানাঃ হরিরামপুর, জেলা: মানিকগঞ্জ, আমার সংগীয় ০১। বাবর আলী (৩৫), পিতাঃ আয়নাল মোল্লা, ০২।
হালিম মোল্লা (৬৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, ০৩। আয়নাল মোল্লা (৬৫), পিতাঃ অজ্ঞাত, সর্ব সাং- ফৈজনগর, থানাঃ হরিরামপুর, জেলা: মানিকগঞ্জ সহ আপনার বরাবর এই মর্মে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, বিবাদী ০১। ইদ্রিস মোল্লা (৪৫), ০২।
চান মোল্লা (৬০), উভয় পিতাঃ মৃত ছমির মোল্লা, সাং- ফৈজনগর, থানাঃ হরিরামপুর, জেলাঃ মানিকগঞ্জ। মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানাধীন হারকান্দি সাকিনস্থ পদ্মা নদীর চরে আনুমানিক ১২ বছর যাবৎ আমি ও বিবাদীদ্বয় সহ আরো ৫/৬ পরিবারের লোকজন বসবাস করিয়া আসিতেছি। দীর্ঘদিন যাবৎ বিবানীদ্বয় আমি সহ আমার আশপাশের বসবাসরত লোকজনের বসতবাড়ির জমি নিজেদের বলিয়া দাবি করিয়া আসিতেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ইং- ০৮/১০/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় বিবাদীদ্বয় লোক ভাড়া করিয়া আনিয়া আমার বসতবাড়ি সহ আশপাশের বাড়িতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ ও বিভিন্ন সবজি গাছ কাটিয়া ফেলিয়া আনুমানিক ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন করে।
আমি সহ আশপাশের পরিবারের লোকজন বাধা প্রদান করিলে বিবাদীগণ আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ ধারালো দা, শাবল ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়া মারিবার জন্য তেড়ে আসে। আমি নিরুপায় হইয়া সেখান থেকে চলিয়া আসি।
তখন বিবাদীদ্বয় আমার বাড়ি হইতে বাইরে বের হওয়ার যাতায়াতের রাস্তা ট্রাক্টর দিয়া হাল চাষ করিয়া বন্ধ করিয়া দেয় এবং আমাকে সহ আশপাশের লোকজনকে হুমকি প্রদান করে যে, আমি বা আশপাশের পরিবারের লোকজন কেউ যদি উক্ত জমিতে প্রবেশ করিয়া তাহলে আমাদেরকে রাস্তাঘাটে একলা সময় সুযোগমত পাইলে প্রাণে মারিয়া ফেলিবে।
আমি বিষয়টি এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গদেরকে জানাইলে তাহারা কোন প্রকার সমাধান করিয়া দিতে পারে নাই। উক্ত বিষয়টি আমি আমার আশপাশের পরিবারের লোকজনদের সহিত আলাপ আলোচনা করিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।
অভিযোগকারী রাসেল আক্ষেপ করে বলেন, অভিযোগের প্রথম দিন রাতে থানার মুন্সি আমাকে ফোন করে নাম ঠিকানা জেনেছে মাত্র। আমরা গরীব মানুষ বলে কারো সুপারিশ নিতে পারিনি বলে হয়তো পুলিশ দেরি করতেছে।
হরিরামপুর থানার মুন্সি আব্দুর রহিম মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পরই এসআই মুরাদ ইনডোস করে দিয়েছি।
এসআই মীর মুরাদ মুঠোফোনে জানান, আমি কোন অভিযোগ পাইনি বা দেখিনি, একটু সময় দেন, আমি দেখে জানাচ্ছি। পরে, তিনি একটুপর আবার ফোন করে প্রতিবেদকে বলেন, আমার স্বাক্ষী ছিলো, আমি থানায় ছিলাম না। আজ থানায় আমি ডিউটি অফিসার। বশির সাহেব যাচ্ছে।
হরিরামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য জানান, অভিযোগটা এসআই মুরাদকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তিনি যাননি। আমি এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।