রাউজানে উড়লো লক্ষাধিক ফানুস
গাজী জয়নাল আবেদীন, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: রাউজান উপজেলার ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা যা আশ্বিনী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। গত শনিবার সন্ধ্যায় এই প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে উপজেলার ১৪৪ টি বৌদ্ধ বিহার ও এসব বিহারের আওতাধীন প্রতিটি গ্রাম হতে প্রায় সর্বমোট লক্ষাধিক ফানুস উড়ানো হয়েছে।
এইদিন সকাল হতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পূর্ণার্থীরা গ্রামের প্রতিটি বিহারে গিয়ে প্রার্থনায় অংশ নেন। এই উপলক্ষ্যে বিহারে-বিহারে শিশু-কিশোরদের নিয়ে নানান ধর্মীয় প্রতিযোগীতা, পুরস্কার বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ধর্মীয় দেশনার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে শিশু-কিশোররা আতশবাজি ফাটিয়ে আর ফানুস উড়িয়ে আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠে।
দু’শ বছরের প্রাচীন মহামুনি বৌদ্ধ বিহার উন্নয়ন ও সংরক্ষণ কমিটির প্রশাসক অনুপম বড়ুয়া বাবুল বলেন, সকাল হতে উৎসবমুখর পরিবেশে ধর্মীয় নানান বিষয়ভিত্তিক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রাম ছাড়াও দূরদূরান্ত হতে পূর্ণার্থীরা ভগবান বৌদ্ধদের কৃপা নিতে বিহারে আসেন। এই গ্রাম হতে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি ফানুস উড়ানো হয়। সারা রাউজানে প্রায় এক লাখেরও অধিক ফানুস উঠেছে।
হোয়ারাপাড়া ঐতিহাসিক রামদাশ বিহার ও ভাবনা কেন্দ্রের বিহার অধ্যক্ষ করুনানন্দ ভিক্ষু বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। সন্ধ্যার পর হতে বিহারসহ গ্রামের প্রায় প্রতিটি গৃহ হতে কয়েক হাজার ফানুস উড়ানো হয়েছে। মনে হয়েছিল রাতের আকাশের তারা নিচে নেমে এসেছে।
শুধু প্রবারণা পূর্ণিমা নয়, রাউজান প্রতিটি ধর্মের ধর্মীয় উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে আনন্দঘণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়। রাউজান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি মডেল উপজেলা বলে উল্লেখ করেন রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।