অবরোধের প্রভাব পড়েছে পাটুরিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে
আবিদ হাসান, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ বিএনপি জামায়াতের ডাকা ৩ দিনের অবরোধের ২য় দিনে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে অন্যান্য দিনের চেয়ে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল করছে অনেকটাই কম। সকাল থেকে পাটুরিয়া-দৌলদিয়া নৌ-রুটে ২/৩ ঘণ্টা পরপর একটা ছোট ফেরি ছাড়লেও দূরপাল্লার গাড়ি না থাকায় বড় ফেরি ছাড়তে দেখা যায়নি। লঞ্চ চলাচল করলেও যাত্রী তেমনটা নেই বললেই চলে। এতে করে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ নৌরুটটি।
বুধবার সকাল ১১ টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে গেলে এমনই চিত্র দেখা যায়। অবরোধকে কেন্দ্র করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পারাপারের যাত্রীরা। তাই অবরোধের প্রভাব কিছুটা হলেও পড়েছে পাটুরিয়া-দৌলদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটে। প্রতিদিনের মত দূরপাল্লার যাত্রী ও যাত্রীবাহী গাড়ি চোখে না পরলেও, পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান পার হতে দেখা গেছে। মহাসড়কে দূরপাল্লার গাড়ি দেখা না গেলেও মাঝেমাঝে প্রাইভেটকার, পিকআপ ভ্যান, ব্যাটারি চালিত রিকশা, ভ্যান, হ্যালোবাইক, ইজিবাইক চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে দুপুর ১টার দিক হতে সেলফি পরিবহনগুলো ২/১টা করে ছাড়া শুরু করে।
পাটুরিয়া ঘাটের সেলফি পরিবহনের চালক রবি জানান, অবরোধের প্রথম দিন রাস্তায় আসিনি। আজ দুপুরে আসলাম। দেখি যাত্রী পেলে হয়তো ঢাকার দিকে যাব। রাস্তায় তো যাত্রীই নাই। আবার ভয়ও আছে। কোথায় কখন কি পরিস্থিতি হয় বলা তো যায় না।
ঘাটের ফল ব্যবসায়ী সবজেল জানান, অবরোধের কারণে ঘাটে যাত্রী নাই। অন্যান্য দিন দুপুর পর্যন্ত ৬/৭ শো টাকা বিক্রি হলেও আজ বিক্রি করেছি মাত্র ৮০ টাকা। এভাবে হলে আমরা বৌ পোলাপান নিয়ে বাঁচতে পারব না। আমরা গরীব মানুষ। আমরা হরতাল অবরোধ চাইনা।
ফেরির মধ্যে বই শিশুদের বিক্রি করে হকার মন্তাজ। তিনি জানান, অবরোধের কারণে আমাদের বেচা বিক্রি নাই। কারণ রাস্তায় গাড়ি নাই, যাত্রী নাই। অবরোধে আমাদের মতো গরীব মানুষের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ফেরিতে হকারি করি। ফেরি যদি না চলে আমরা চলুম কেমনে?
৪ নং ফেরিঘাটের টিকিট চেকার রিপন জানান, বড় ফেরিগুলো বন্ধ। দূরপাল্লার কোনো গাড়ী নাই। শুধুমাত্র পণ্যবাহী মিনি ট্রাক, পিকাপ আর দুএকটা প্রাইভেটকার পারাপার হচ্ছে।