কুলাউড়ার মাওলানা ফয়জুল ইসলাম সিদ্দিকী দেশের শ্রেষ্ঠ ইমাম
আব্দুর রব, বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট আলেমে-দ্বীন জামেয়া ইসলামীয়া নুরে হেরা ভাটেরা কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম, তুলাপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হযরত মাওলানা শেখ ফয়জুল ইসলাম সিদ্দিকী ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে দেশ শ্রেষ্ঠ ইমাম প্রতিযোগিতায় সারা বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচিত হয়েছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে পরিচালিত শ্রেষ্ঠ ইমাম নির্বাচন ও বাছাই পরীক্ষায় জেলা ও সিলেট বিভাগ উত্তীর্ণ হওয়ার পর বাংলাদেশের ৮ টি বিভাগের নির্বাচিত ১৮ জন ইমামের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইমাম প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে বাংলাদেশের তিন জনের মধ্যে তিনি ২য় স্থান অধিকার করেন।
গত ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে জাতীয় ইমাম সম্মেলনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি, ধর্ম সচিব আব্দুল হামিদ জম্মাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক আনিসুজ্জামান সিকদারসহ পরিচালক মাওলানা জাকির হোসেনের কাছ থেকে তিনি দেশ সেরা ইমামের সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন।
মাওলানা ফয়জুল ইসলাম সিদ্দিকী ১৯৭৫ সনের ১ জানুয়ারী তৎকালীন বরমচাল ইউনিয়নের রাউৎগাওঁ চক খামাউড়া গ্রামে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হেকিম ও পল্লী চিকিৎসক মাওলানা মরহুম শেখ মুছলিম মিয়া সিদ্দিকী ও মরহুমা হাওয়ারুন নেছার কনিষ্ঠ সন্তান। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ। মক্তব ও প্রাথমিক শিক্ষা তৎকালীন শশারকান্দী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার পিতা শেখ মুছলিম মিয়া সিদ্দিকীর কাছ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পাঠগ্রহণ করেন। তুলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণী সমাপ্তি করে মক্তব চাহারম হতে কাফিয়া পর্যন্ত জামেয়া মুজাহিরুস সুন্না, দনারাম-শরহেজামী হতে মিশকাত পর্যন্ত জামেয়া নুরানিয়া ইসলামিয়া ভার্থখলা সিলেট এবং তাকমিল ফিল হাদিস গহরপুর জামেয়া হুসাইনিয়া সিলেটের বিশিষ্ট বুজুর্গ শায়খুল হাদীস আল্লামা নুর উদ্দিন আহমদ গহরপুরী (রহঃ) এর নিকট হতে সনদ লাভ করেন।
বাংলাদেশ সরকারের ইসলামীক ফাউন্ডেশনের অধীনে ২০০১ সালে সিলেটের রায় নগর দর্জীপাড়া ইমাম প্রশিক্ষন একাডেমিতে ইমাম প্রশিক্ষণের সাথে রিফ্রেসার্স কোর্স, মানব সম্পদ উন্নয়ন, এইডস প্রতিরোধ প্রাথমিক চিকিৎসা সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ নেন। তিনি একজন প্রচারবিমুখ মেধাবী আলেম, দ্বীনের একজন নিবেদিত খাদেম।
উনার এ অর্জনে ভাটেরা, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার তথা সিলেট বিভাগের মানুষ আনন্দিত। এই জনপদের জন্য তিনি এক বিরল সম্মান বয়ে এনেছেন যা ইতোপূর্বে আর এই এলাকায় আসেনি।
উল্লেখ্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হিসেবে নির্বাচিত ৩ ইমামের মধ্যে তিনি ২য় হন। যার স্বীকৃতির স্মারক ৪ বছর পর গত ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।