হিজবুল্লার সঙ্গে যোগ দিচ্ছে ওয়াগনার বাহিনী, আতঙ্কে পেন্টাগন
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ প্রায় এক মাস হতে চলেছে। এতে নিহত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি। আহত অন্তত ২০ হাজার। চলমান এ যুদ্ধ সহসাই থামছে না বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
এরইমধ্যে হামাসকে সমর্থনে এগিয়ে আসছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘নিজস্ব বাহিনী’ নামে পরিচিত ওয়াগনার গোষ্ঠী। ওয়াগনার হামাসকে সহযোগিতা ছাড়াও ইরান সমর্থিন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে সাহায্য করতে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। ওয়াগানার গোষ্ঠীর হামাস এবং হিজ়বুল্লার পাশে দাঁড়ানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পেন্টাগন।
পেন্টাগনের দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, হিজ়বুল্লাকে রাশিয়ার ‘এসএ-২২ গ্রেহাউন্ড’ তুলে দিতে চলেছে ওয়াগনার। ‘এসএ-২২ গ্রেহাউন্ড’ একটি বিমান বিধ্বংসী ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র।
‘প্যান্সার-এস১’ নামে পরিচিত রাশিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা হাতে পেলে হিজ়বুল্লা যোদ্ধারা রাডারের সাহায্যে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের গতিবিধি আগাম আঁচ করে পাল্টা হামলা চালাতে পারবে।
‘এসএ-২২ গ্রেহাউন্ড’-এ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর লঞ্চার এবং রাডার রয়েছে। এটি মানবচালিত এবং মানববিহীন- উভয় বিমানের উপর হামলা চালিয়ে সেগুলো ধ্বংস করতে সক্ষম।
পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডারকে উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট জানাচ্ছে, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ওয়াগনার গোষ্ঠীর যোগ দেওয়া ‘খুবই উদ্বেগজনক’। তবে ‘এসএ-২২ গ্রেহাউন্ড’ এখনও হিজ়বুল্লার কাছে পৌঁছেছে কি না তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। যদিও ওয়াগনার এবং হিজ়বুল্লার কার্যকলাপের দিকে নজর রাখছে আমেরিকা।