কুমিল্লায় যুবকের লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
ব্যুরো চীফ, কুমিল্লা : ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লার নাঙ্গলকোট-হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী খান্নাপাড়া মাজার সংলগ্ন স্থান থেকে শুক্রবার সকালে নুরুন্নবী (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করে রাতে রেল লাইনের পাশে রেখে যায়। পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যা।
স্থানীয় ও রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌর সদরের ৮নং ওয়ার্ড খান্নাপাড়া নামক স্থানে খান্নাপাড়া গ্রামের মৃত তিতা মিয়ার ছেলে নুরন্নবী (৩০) লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করেন। নিহত নুরুন্নবীর দুই স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান রয়েছে।
নিহতের ভাই আনিসুল হক বলেন, আমার ভাই সিএনজি ড্রাইভার। সে গতকাল সকালে রেল লাইনের পাশে গাছের ঢাল-পালা কেটেছে। বিকেলে সিএনজি মালিকের সাথে দেখা করতে যায়, সেখান থেকে রাতে বাসায় আসে। রাত ১১টার দিকে ফোন আসলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সকালে রেললাইনের পাশে তার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়।
২য় স্ত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, আমরা স্বামী সারাদিন মাজারের পাশে গাছের ডাল কেটেছে। সন্ধ্যায় নাঙ্গলকোট বাজারে গিয়ে রাতে বাড়ি ফিরে আসে। রাত ১১ টার দিকে তার ফোনে একটা কল আসলে তিনি বের হয়ে যান। যাওয়ার সময় বলেন দরজা বন্ধ করো না আমি আসতেছি। সকালে শুনতে পাই আমার স্বামীর লাশ পড়ে আছে রাস্তার পাশে। গত কয়েকদিন আগে একটি মিথ্যা মামলায় জেল খেটে এসেছেন এবং দুই দিন আগে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। আমি তাদের নাম জানিনা থানায় গেলে জানতে পারবেন। আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার দাবি করছি।
রেলওয়ে কি ম্যান ইউসুফ মিয়া বলেন, আমাকে সকাল ৭টার দিকে এলাকার কয়েকজন লোক ফোন করে ঘটনাটি জানায়। ৮টা ২০ মিনিটে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবকের লাশ দেখতে পাই।
রেলওয়ে লাকসাম থানার সাব ইন্সপেক্টর আমিরুল ইসলাম বলেন, ওসি সাহেব আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। আমি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে এটি হত্যা নাকি রেল দুর্ঘটনা।