চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাড়াটে লোক দিয়ে চলছে রোগীর চিকিৎসা
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে রোস্টারভুক্ত চিকিৎসকের পরিবর্তে ভাড়াটে লোক দিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। প্রায়ই রাতে জরুরী বিভাগে ভাড়াটে লোক দিয়ে চিকিৎসা করানো হলেও সামান্য সহযোগীতা নেয়া হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষের দাবী।
জানা গেছে, ৫০শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৬জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তাসহ ৮জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দ্বায়িত্বে থাকা ডা. রবিউল ইসলাম প্রায় সময় হাসপাতাল চত্বরে না থেকে রংপুরে অবস্থান করেও ফোনে চিলমারীতে আছেন বলে জানান। এ সুযোগে প্রায়ই ভাড়াটে লোক দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়ে থাকে বলে জানা যায়। এতে সুস্থ্ না হয়ে বরং রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
সরেজমিনে শনিবার রাতে রোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের চেয়ারে তাজউদ্দীন নামের এক যুবক বসে আছেন। জানতে চাইলে তিনি নিজে ডিএমএফ শিক্ষার্থী এবং তিনি এই হাসপাতালে ইন্টার্নি করেছিলেন বলে দাবী করেন।তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাতে জরুরী বিভাগে দ্বায়িত্ব পালনের জন্য বলেছেন। তিনি আরও জানান, মাঝে মধ্যেই তিনি এ দ্বায়িত্ব পালন করেন।এছাড়াও হাসপাতালের চিকিৎসকগণ নিজেদের সুবিধা মতো রোস্টার নামের তালিকা তৈরী করে রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা করারও অভিযোগ রয়েছে।
সাংবাদিকদের উপস্থিতির খবর পেয়ে রাতের রোস্টারভুক্ত জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. আবু হাসান শাহরিয়ার রিফাত হাসপাতালে এসে তাজউদ্দিনের কাছে সহযোগীতা নেয়ার কথা জানান।
এসময় মুঠোফোনে আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) ডা. রবিউল ইসলাম জানান, তাজউদ্দীনকে কিছুক্ষণের জন্য রেখে ডা. রিফাত রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। আরএমও সাহেবকে জরুরী বিভাগে আসতে বললে তিনি চিলমারীতে না থেকেও কোয়ার্টারে আছেন বলে দাবী করেন।বারবার ডাকা সত্ত্বেও তিনি জরুরী বিভাগে আসেননি। ফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে কুড়িগ্রামে অবস্থান করছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, ডা. রিফাতের ব্যক্তিগত সমস্যা থাকায় কিছু সময়ের জন্য তাজউদ্দীনকে রাখা হয়েছিল। ভবিষ্যতে এমন কাজ হবেনা বলেও জানান তিনি।
ভাড়াটে লোক দিয়ে চিকিৎসা প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর এ মোর্শেদ বলেন, কাল আমার অফিসে এসে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।