রাজনৈতিক অস্থিরতায় পর্যটন খাতে প্রতিদিন শত কোটি টাকার ক্ষতি
জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার প্রতিনিধি: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভরপর্যটন মৌসুমে পর্যটক শূন্য বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে কক্সবাজারে পর্যটকের উপস্থিতির সংখ্যা ৫ শতাংশের কম। এতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের প্রতিদিন গড়ে ১ শত কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, কক্সবাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে অক্টোবর মাস পর্যটনের ভরা মৌসুম। এ সময় লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত থাকে সাগর পাড় কক্সবাজার। একই সঙ্গে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে জন্য বিপুল সংখ্যক পর্যটক আগমন হয়। কিন্তু এবার এ পর্যটকের উপস্থিতি ৫ শতাংশের কম। এতে আবাসিক প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি জানান, এখানে পর্যটন মানেই কেবল আবাসিক প্রতিষ্ঠান না। এর সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে রেস্তোরা, সৈকতের কিটকট (বীচ ছাতা), ঘোড়া, ফটোগ্রাফার, বীচ বাইক, আশে-পাশের মাকের্ট, শুটকি ব্যবসায়ী, পরিবহন ও জাহাজ মালিকসহ নানা স্তরের মানুষ। সার্বিক পরিস্থিতিতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে এক শত টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে ট্রেন আসার পর ৫ শতাংশ পর্যটক আসছে। আগে তাও ছিল না। পর্যটনের ভরা মৌসুম রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধের কারণে এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
সৈকতের ছাতা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন দুলাল বলেন, ছাতা মার্কেটে ২০০ মতো দোকান রয়েছে। এসব দোকানে প্রতিনিধি ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার নানা ধরণের পণ্য বেচাবিক্রি হতো। কিন্তু এখন বেচাবিক্রি একদম নেই বললে চলে। বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল ও অবরোধে পর্যটক না থাকায় ব্যবসা হচ্ছে না। প্রতিদিনই ৩ কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল ও অবরোধের কারণে কক্সবাজারের পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় কক্সবাজার এখন পর্যটক শূন্য। যার ফলশ্রুতিতে কক্সবাজারের পর্যটনের সবখাতে প্রতিদিনই গড়ে ১০০ কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে।