খাগড়াছড়িতে দুবৃর্ত্তের গুলিতে ইউপিডিএফের ৪জন নিহত, নিখোঁজ ৩
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুবৃর্ত্তের গুলিতে ইউপিডিএফের ৪নেতাকর্মী নিহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাংগঠনিক কাজে বিপুল, লিটন, রুহিন ও সুনীলসহ ৭ জন নেতাকর্মী সোমবার লোগাং এলাকায় ছিলেন। তারা রাতে অনিল পাড়া গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে সশস্ত্র দুর্বৃত্ত দল ওই বাড়িতে চারজনকে হত্যা করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
ঘটনার বিষয়ে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, পানছড়ির লোগাংয়ের অনিল পাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে সোমবার রাতে ওই হামলা হয়। আজ (মঙ্গলবার) সেখানে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের উদ্যোগে যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনে যোগ দিতে ওই চার জন সেখানে অবস্থান করছিলেন। রাতে তাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহতরা হলেন- পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পিসিপির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নেতা লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা।
এ ঘটনায় ইউপিডিএফ সংগঠক নীতিদত্ত চাকমা, হরি কমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরা নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন অংগ্য মারমা।
নিহত বিপুল চাকমার বাড়ি চেঙ্গী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের করল্যাছড়ি বুদ্ধধন পাড়ায়, সুনীল ত্রিপুরার বাড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের সুরেন্দ্র রোয়াজা হেডম্যান পাড়ায়, লিটন চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের দ্রোনচার্য্য কার্বারি পাড়ায় ও রুহিন বিকাশ ত্রিপুরার বাড়ি পানছড়ির উপল্টাছড়ি ইউনিয়নের পদ্মিনী পাড়ায়।
এ ঘটনার জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন ইউপিডিএফ নেতা অংগ্য মারমা।
তবে অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সাংগঠনিক সম্পাদক অমর চাকমা মুঠোফোনে জানান, আমাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা (ইউপিডিএফ-প্রসীত গ্রুপ) আমাদের দোষারোপ করতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের কোন হাত নেই। ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এরকম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয়। আমরা বরং এরকম কার্যক্রমকে তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এ ঘটনার বিষয়ে (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) পানছড়ি থানার ওসি শফিউল আজম মঙ্গলবার সকালে জানান, “স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে চার জন নিহত হওয়ার ঘটনা শুনছি। আমরা সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”