‘ওমিক্রন সামলাতে সঠিক পথে জার্মানি’

করোনা ভাইরাসের বর্তমান ঢেউ সামলাতে জার্মানি সঠিক দিশায় দাবি করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের আগে তিনি বর্তমান ঢেউ সামলাতে সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন।
বিশ্বের অনেক দেশের মতো জার্মানিও করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন প্রজাতির প্রসার মোকাবিলা করতে হিমসিম খাচ্ছে। চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নেবার সময় থেকেই ওলাফ শলৎস সেই ঢেউ থামানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নভেম্বর মাস থেকে কড়া বিধিনিষেধের কারণে প্রতিবেশী দেশগুলির তুলনায় জার্মানিতে ওমিক্রনের প্রসারের গতি অনেক ধীর বলে শলৎস মনে করিয়ে দেন। ‘স্যুডডয়চে সাইটুং’ সংবাদপত্রের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এখনই বিধিনিয়ম শিথিল করার বিরুদ্ধে মত দেন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন।
চলতি সপ্তাহে জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষে করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা হবার কথা। বুধবার সেই বিতর্ক শুরু হবে। এর মধ্যেই স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে অস্ট্রিয়া গত সপ্তাহে সবার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেবার পর জার্মানিতেও সেই দিশায় অগ্রসর হবার জন্য চাপ বাড়ছে। তবে চ্যান্সেলর হিসেবে শলৎস বিষয়টি সরকার বার দলীয় রাজনীতির আওতায় না রেখে সংসদের হাতে ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অর্থাৎ সংসদ সদস্যদের ব্যক্তিগত অভিমতের ভিত্তিতে ঐকমত্য চান তিনি। আলোচনায় অগ্রগতি হলে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়াও সংসদ থেকেই উঠে আসবে, এমনটাই চান শলৎস। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী জার্মানির প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষও করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করার পক্ষে।
জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাখ সেইসঙ্গে সংশয়ী মানুষের জন্য করোনা টিকা আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে বড় আকারে প্রচার অভিযানের ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, জার্মানিতে এখনো অনেক মানুষ টিকা না নেওয়ায় করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি এত গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষ করে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে করোনা রোগীর সংখ্যা আবার বাড়তে থাকায় সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চাইছে।
জার্মানিতে করোনা সংক্রমণ একের পর এক রেকর্ড ভাঙার ফলে সোমবার ফেডারেল ও রাজ্য সরকার বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। দেশজুড়ে পিসিআর টেস্ট বেড়ে চলার ফলে ল্যাবগুলির পক্ষে সেই চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সরকার শুধু নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে সেই সুযোগ সীমিত রাখতে চায়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিরাময়ের পর কোনো মানুষকে ছয় মাসের বদলে ৯০ দিনের জন্য ‘করোনাজয়ী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেবার জন্যও কিছু মহল থেকে চাপ আসছে।